বহুর্মুখী এর বিপরূত অন্তর্মুখী কেই আমরা ইন্ট্রভার্ট বলে থাকি। যাদের নিজস্ব জগৎ থাকে, যারা নিজেদের জগতে বিচরন করতে পছন্দ করে তারা সাধারত ইন্ট্রভার্ট হয়ে থাকে । তারা সবসময় আত্মকেন্দ্রিক মনোভাব নিয়ে চলে। সাধারণত অন্তর্মুখী মানুষদের কে নেতিবাচক চোখে দেখা হয়। তাদের কেউ কেউ অসামাজিক বা হিংসাপরায়ণ বলেও থাকে। আসলে তারা অসামাজিক বা হিংসাপরায়ন কোনোটি নয়। তারা স্থান ভেদে যথেষ্ট সামাজিকতার পরিচয় দিয়ে থাকে।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় অন্য দের থেকে তারা বেশি পরোপকারী ন্যায়পরায়ন।অন্তর্মুখী যারা তারা অন্যদের থেকে বেশি চিন্তাশীল হয়ে থাকে, তাদের জানার আগ্রহ ও বেশি হয়ে থাকে। কল্পনাশক্তি ও প্রখর হয়ে থাকে। কারন তারা নিজের জগতে থেকে নিজের কল্পনাশক্তি কে বেশি কাজে লাগায়। নিজের সৃজনশীলতা কে কাজে লাগানোর চেষ্টা করে। দেখা যায় তারা হাসি গল্পে আড্ডা না দিয়ে নিজের মত করে চুপ করে বসে অন্য কোনো চিন্তায় মগ্ন থাকে।
কোনো কিছু মাথায় আসলে সেইটা নিয়ে রিচার্স ও শুরু করে। ইন্ট্রভার্টরা কোলাহল মুক্ত পরিবেশ পছন্দ করে। নির্জন পরিবেশে তারা বই পড়ে, গান শোনে। নিজের মত করে ঘুরতে ও পছন্দ করে। তাদের যে সঙ্গী থাকে না এমন না। তাদের মন মত সঙ্গীর সাথে তারা খুব মেলামেশা করে। এক্সট্রভার্টদের মত খুব বেশি বন্ধু তাদের থাকে না,খুব বেশি আড্ডা ও দেয় না। তারা নিজের মত করে নিজের চিন্তা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে চলতে পছন্দ করে। নিজেদের উপর তাদের পরিপূর্ণ বিশ্বাস থাকে।
নিজের উপর কনফিডেন্স রেখে নতুন আইডিয়া বের করা, রিচার্স করা, নিজের মেধা কে কাজে লাগায় তারা। রিচার্স করলে দেখা যায় ইন্ট্রভার্টরা বেশি সফল। তাদের মধ্যে সৃজনশীলতা বেশি। চিন্তা শক্তি তে ও তারা প্রখর। আপনি যদি একাকিত্ব থেকে নিজের চিন্তা শক্তিকে কাজে লাগাান, হইহুল্লোর এর থেকে নিরিবিলি বই পড়তে বেশি ভালোবাসেন, আড্ডা দেওয়ার থেকে কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতে পছন্দ করেন। কথা কম বলেন কিন্তু প্রয়োজনে সঠিক কথা ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন ধরে নিবেন আপনি ইন্ট্রভার্ট।