কোলেস্টেরল কি?

0
67
pic collected from : zedge

কোলেস্টেরল বলতে সহজ ভাষায় আমরা ফ্যাট বা চর্বি কে বুঝি। যা আমাদের শরীর এর জন্য ক্ষতিকর।

শরীরে যখন কোলেস্টরল মাত্রা বেড়ে যায় তখন বিভিন্ন রকমের রোগ দেখা দিতে থাকে। কোলেস্টেরল সাধারণত  রক্তনালি তে বাসা বেধে থাকে। রক্ত প্রবাহ কে ক্ষতি গ্রস্ত করে।  আমাদের শরীরে কয়েক ধরনের কোলেস্টেরল রয়েছে তার মধ্যে দুইটি হলো এলডিএল ও এইচডিএল। এইচডিএল হলো হাই কোলেস্টেরল যার ঘনত্ব বেশি থাকে যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এলডিএল হলো লো কোলেস্টেরল যা শরীরের জন্য উপকারী। অর্থাত বেশি বেশি ঘনত্ব থাকলে তাকে হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রটিন বলে  আর কম ঘনত্ব কে লো ডেনসিটি লাইপোপ্রটিন বলে। 

শরীরে কোলেস্টেরল এর পরিমান বেড়ে গেলে বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দেয়৷ হার্টে ফ্যাট এর পরিমাণ বেড়ে গেলে হার্ট ব্লক হয়ে যায় বা হার্ট এ্যাটাক হয়। মস্তিষ্কে ফ্যাট বাড়লে ব্রেইন স্টোক বা কোনো একটা শিরায় সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় লিভারে ও ফ্যাট জমে। ফ্যাট জমলে ওজন বেড়ে যায়, ডায়বেটিস দেখা দেয়।  অনিয়মিত খাদ্যাভাস, শরীরচর্চা না করার জন্য ফ্যাট জমে শরীরে। কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো তে কোলেস্টেরল এর পরিমান বেশি থাকে। যেমন চিংডি মাছ, লাল মাংস  ( গরু, খাসি) সফট ড্রিংকস, চকলেট, জাংক ফুড ইত্যাদি। সারাক্ষণ শুয়ে বসে থাকলে শরীরে কোলেস্টেরল এর পরিমান বেড়ে যায়। নিয়মিত শরীর চর্চার অভাবে কোলেস্টেরল বেড়ে শরীর এর ওজন বাড়িয়ে দেয়।

অতিরিক্ত কোলেস্টরল এর জন্য মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। অনেক সময় যে কোলেস্টেরল শরীর এর জন্য উপকারী সেটা কমে যায়, হাই কোলেস্টেরল সেটিকে কমিয়ে দেয় এর ফলেও শরীরে রোগ বাসা বাধে। হাই কোলেস্টেরল থেকে বাঁচতে কিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন শরীরে।  বেশি কোলেস্টেরল যুক্ত মাছ খাওয়া যাবে না যেমন চিংড়ি। লাল মাংস পরিহার করতে হবে। তবে লা মাংস গ্রীল করে খাওয়া যেতে পারে কিছু চর্বির পরিমান কম থাকে এতে। বেশি করে সবুজ শাক সবজি খেতে হবে। চাল, ভুট্টা, লাল আাটা এগুলোর পরিমান যথেষ্ট রাখতে হবে। সয়াবিন তেল শরীর এর জন্য ক্ষতিকর এক্ষেত্রে অলিভ ওয়েল বেশি কার্যকারী।

কিছু কিছু ওষুধ এ ও কোলেস্টেরল থাকে সেগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে।  নিয়মিত শরীর চর্চা করতে হবে। সকালে হাটার অভ্যাস করতে হবে। দৈনিক অন্তত এক ঘন্টা এক্সারসাইজ করতে হবে। প্রচুর পরিমান পানি পান করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় ব্যায়াম এর ফলে শরীর থেকে ঘামের সাথে পানি বের হয়ে যায় ফলে ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। 

শরীরে ভিটামিন এর ঘাটতি পূরন করতে হবে। ভিটামিন ডি, এ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। সর্বোপরি নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে। অনিয়ম ছেড়ে নিয়ম এর মধ্যে আসতে হবে। তাহলে শরীর কে সুস্থ রাখা যাবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here