ব্লাক হোল নামক মহাকাশের দানবকে নিয়ে আমাদের রয়েছে এক অনন্ত বিস্ময়।
ব্ল্যাক হোল শব্দের বাংলা অর্থ কৃষ্ণ গহ্বর। তবে শব্দটি দ্বারা কিন্তু কোনো গর্তকে বোঝায় না। এটি মহাকাশের এমন একটি জায়গা যেখানে মাধ্যাকর্ষণ টান এতই শক্তিশালী যে আলো সহ সবকিছুকে নিজের দিকে টেনে নিয়ে যায়।
যখন কোনো তারকার জীবনকাল শেষ হয়ে গেলে তার অভিকর্ষ শক্তি অনেক প্রবল হয়ে যায় তখন তা ব্ল্যাক হোলে পরিণত হয়।
ব্ল্যাক হোল মানবজাতির জন্য এক অপার রহস্যময় বস্তু। ব্লাকহোলের মহাকর্ষীয় বলে একবার ঢুকলে আর বের হওয়া যায় না।১৭৯৬ সালে গনিতবীদ পিয়েরে সিমন ল্যাপলেস ও ১৯১৬ সালে আইন্সটাইন ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা দিলেও বিষয়টি প্রমাণিত হয় ১৯৯৪ সালে।
তবে জার্মান বিজ্ঞানী কার্ল শোয়ার্জস্কাইল্ড ১৯১৬ সালেই যেকোনো তারকা যে ব্ল্যাক হোলে পরিণত হতে পারে সে তত্ত্বটি দেখান।
ছোট বড় অনেক আকৃতির ব্ল্যাক হোল রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে একটি পরমাণুর সমানও একটি ব্ল্যাক হোল হতে পারে তবে এর ভর হতে পারে বিশাল কোনো পর্বতের সমান। অন্যদিকে সবচেয়ে বৃহত্তর ব্ল্যাকহোলকে বলা হয় “সুপারমেসিভ”।
সাধারণত একটি ব্ল্যাক হোলকে দেখা প্রায় অসম্ভব। তবে যখন একটি ব্ল্যাকহোল ও তারকারা পরস্পরের খুব কাছাকাছি আসে, তখন অনেক উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন আলো উৎপন্ন হয়। সেই সময় বিজ্ঞানীরা স্যাটেলাইট ও উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টেলিস্কোপ ব্যবহার করে তা দেখতে পারেন। এভাবেই বিজ্ঞানীরা ব্ল্যাকহোলের অস্তিত্ব প্রমাণ করেছেন।
[…] ব্ল্যাক হোল কী? […]