মোটা হবার উপায়

1
56
মোটা হবার উপায়
পিক ; মোটা হবার উপায়

মোটা হবার উপায় জানতে চান? মোটা হবার উপায় জানার জন্য ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নেওয়ার বিকল্প নেই।

এখানে কিছু উপায় দেওয়া হলো যা সাহায্য করতে পারে

১. পুষ্টিকর এবং ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার খান:

  • প্রোটিন: মাংস, মাছ, ডিম, ডাল, বাদাম এবং দুধের পণ্যসমূহ খাওয়া উচিত।
  • কার্বোহাইড্রেট: চাল, রুটি, আলু, পাস্তা এবং অন্যান্য স্টার্চি খাবার খাবেন।
  • ফ্যাট: বাদাম, বীজ, অ্যাভোকাডো, এবং স্বাস্থ্যকর তেল (যেমন অলিভ অয়েল) ব্যবহার করুন।

২. পর্যাপ্ত ঘুম:

প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন। ঘুম বেশি হলে শরীরের বৃদ্ধি ও পুষ্টি শোষণের প্রক্রিয়া সঠিকভাবে কাজ করে।

৩. নিয়মিত ব্যায়াম:

বিশেষ করে ওজন তোলার ব্যায়াম করুন যা পেশী বৃদ্ধি এবং ওজন বাড়াতে সহায়ক।

৪. অতিরিক্ত খাবার খান:

তিন বেলা প্রধান খাবার খাওয়ার পাশাপাশি দিনে আরও দুই-তিনবার স্ন্যাক্স খাওয়ার চেষ্টা করুন। পুষ্টিকর স্ন্যাক্স যেমন ফল, বাদাম, দই ইত্যাদি খেতে পারেন।

৫. হাই ক্যালোরি ড্রিঙ্কস পান করুন:

মিল্কশেক, স্মুদি, প্রোটিন শেক এবং ফলের জুস খাওয়া যায় যা ক্যালোরি বাড়াতে সহায়ক।

৬. মানসিক চাপ কমানো:

মানসিক চাপ কমাতে এবং মেন্টাল ওয়েল-বিইং বজায় রাখতে বিভিন্ন রিলাক্সেশন টেকনিক যেমন মেডিটেশন এবং যোগব্যায়াম করতে পারেন।

৭. নিয়মিত খাবারের রুটিন মেনে চলুন:

নিয়মিত এবং সময়মত খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। খাবার এড়িয়ে না যাওয়া উচিত এবং প্রতিবার পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার খাওয়া উচিত।

৮. স্বাস্থ্যকর সাপ্লিমেন্ট:

ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে প্রোটিন পাউডার, ভিটামিন এবং মিনারেল সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন।

৯. পর্যাপ্ত পানি পান:

শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করলে শরীরের কার্যকারিতা বাড়ে এবং খাবার হজম হতে সহায়ক হয়।

১০. সময়মত খাবার খাওয়া:

নিয়মিত সময়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। খাবারের সময়সূচি মেনে চলা শরীরের বিপাকীয় কার্যক্রমকে ঠিক রাখে এবং ওজন বাড়াতে সহায়ক হয়।

১১. উচ্চ প্রোটিন স্ন্যাকস:

স্ন্যাকস হিসেবে উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার খান যেমন প্রোটিন বার, বাদাম, ডিম, দই ইত্যাদি।

১২. বেশি পুষ্টিকর এবং ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার:

  • শর্করা: চাল, রুটি, পাস্তা, ওটমিল, আলু ইত্যাদি খান।
  • চর্বি: বাদাম, বীজ, অ্যাভোকাডো, এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর তেল (যেমন অলিভ অয়েল)।
  • ডেইরি পণ্য: দুধ, পনির, দই ইত্যাদি।

১৩. ছোট ছোট খাবার:

প্রতিদিন তিন বেলা খাবারের সাথে আরও দুই থেকে তিনবার স্ন্যাক্স খাওয়ার চেষ্টা করুন। স্ন্যাক্স হিসেবে ফল, বাদাম, দই, চিজ ইত্যাদি খেতে পারেন।

১৪. ফিটনেস রুটিন:

নিয়মিত ফিটনেস রুটিন মেনে চলুন। বিশেষ করে ওজন তোলার ব্যায়াম করুন যা পেশী বৃদ্ধিতে সহায়ক।

১৫. স্বাস্থ্যকর ডায়েট প্ল্যান:

একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েট প্ল্যান মেনে চলা উচিত যেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, শর্করা এবং চর্বি থাকে।

১৬. বাড়তি ক্যালোরি:

প্রতিদিনের ক্যালোরি চাহিদার চেয়ে বেশি ক্যালোরি গ্রহণ করুন। অতিরিক্ত ক্যালোরি পেতে খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর এবং উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার যোগ করুন।

১৭. স্ট্রেস কমান:

স্ট্রেস কমাতে বিভিন্ন রিলাক্সেশন টেকনিক যেমন মেডিটেশন, যোগব্যায়াম বা অন্য যেকোনো রিলাক্সেশন কার্যকলাপ করতে পারেন।

১৮. মেডিক্যাল পরামর্শ:

যদি আপনি প্রয়োজনীয় ওজন বৃদ্ধি করতে না পারেন, তাহলে একজন পুষ্টিবিদের সাথে পরামর্শ করুন। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা এবং সঠিক পরামর্শের মাধ্যমে তারা আপনাকে একটি উপযুক্ত ডায়েট প্ল্যান দিতে পারবেন।

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here