পিরিয়ডের ব্যাথা কমানোর উপায়

0
136

পিরিয়ডের ব্যাথা কমানোর উপায় মেয়েদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। আসুন জেনে নেই পিরিয়ডের ব্যাথা কমানোর উপায়

১. গরম সেঁক

  • একটি হট ওয়াটার ব্যাগ বা গরম তোয়ালে ব্যবহার করে পেটের নিচের দিকে রাখুন। এটি পেশীগুলোকে শিথিল করে এবং ব্যথা কমায়।

২. ব্যায়াম

  • হালকা ব্যায়াম বা স্ট্রেচিং ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। যোগব্যায়ামও ভালো উপায়।

৩. প্রচুর পানি পান

  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা পিরিয়ডের সময় শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং ব্যথা কমায়।

৪. পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ

  • প্রচুর ফল, সবজি, এবং সুষম খাবার খাওয়া উচিত। ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাবার পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

৫. ওষুধ

  • প্রয়োজনে ওভার-দ্য-কাউন্টার পেইন রিলিফ ওষুধ যেমন ইবুপ্রোফেন বা ন্যাপ্রোক্সেন সঠিক ডোজে গ্রহণ করা যেতে পারে।

link : https://www.jenerakho.com/payments/

৬. বিশ্রাম

  • পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং ভালো ঘুম পিরিয়ডের সময় ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

৭. হালকা ম্যাসাজ

  • পেটের নিচের দিকে হালকা ম্যাসাজ করাও ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

৮. তাপ চক্র

  • গরম সেঁকের পাশাপাশি একটি আরামদায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করে তাপ চক্র ব্যবহার করা যেতে পারে।

৯. হালকা খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন

  • ক্যাফেইন, চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। এগুলো পিরিয়ডের ব্যথা বাড়াতে পারে।

১০. হার্বাল চা

  • ক্যামোমাইল, পিপারমিন্ট, এবং আদার চা পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে কার্যকর হতে পারে। এগুলো প্রাকৃতিক ব্যথা নাশক হিসেবে কাজ করে।

১১. মেডিটেশন এবং রিলাক্সেশন টেকনিক

  • মেডিটেশন, ডিপ ব্রিদিং এবং রিলাক্সেশন টেকনিক প্রয়োগ করে মন ও শরীরকে শান্ত রাখা যায়, যা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

১২. তাপ সেঁক/প্যাচ ব্যবহার

  • ফার্মেসিতে পাওয়া যায় এমন হিট প্যাচ ব্যবহার করা যেতে পারে যা দীর্ঘসময় ধরে গরম রাখে এবং ব্যথা কমায়।

১৩. এসেনশিয়াল অয়েল

  • ল্যাভেন্ডার, রোজমেরি বা পেপারমিন্ট অয়েল দিয়ে পেটে বা পিঠে হালকা ম্যাসাজ করা যেতে পারে।

১৪. আকুপ্রেশার

  • নির্দিষ্ট পয়েন্টে চাপ দিয়ে আকুপ্রেশার পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে যা পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

১৫. প্রচুর শাকসবজি ও ফলমূল

  • ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ শাকসবজি ও ফলমূল খেলে শরীরের প্রদাহ কমে এবং ব্যথা কমে।

১৬. গরম পানিতে গোসল

  • গরম পানিতে গোসল করে শরীরকে আরাম দেওয়া এবং পেশীগুলো শিথিল করা যেতে পারে।

১৭. পেশাগত চিকিৎসা

  • দীর্ঘস্থায়ী বা খুব বেশি ব্যথা হলে একজন গাইনোকোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত। প্রয়োজন হলে বিশেষ ওষুধ বা চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here