কিভাবে হাইট বাড়ানো যায় এ নিয়ে জানার ইচ্ছে সকলের। মানুষের হাইট বা উচ্চতা প্রধানত জেনেটিক্সের ওপর নির্ভর করে। তবে কিছু প্রাকৃতিক উপায় আছে যেগুলো মেনে চললে উচ্চতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে সহায়তা করা যেতে পারে। কিভাবে হাইট বাড়ানো যায় তার কিছু উপায় এখানে কিছু উপায় তুলে ধরা হলো:
১. সঠিক পুষ্টি
উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য সঠিক পুষ্টি অপরিহার্য। প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। দুধ, ডিম, মাংস, সবুজ শাক-সবজি, ফলমূল ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় রাখুন ।
২. নিয়মিত ব্যায়াম
নিয়মিত ব্যায়াম শরীরকে সক্রিয় রাখতে এবং মাংসপেশীর বৃদ্ধি গতিশীল করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে সাঁতার, বাস্কেটবল, এবং দড়ির লাফের মতো ব্যায়াম উচ্চতা বৃদ্ধিতে কার্যকর। এছাড়া স্ট্রেচিং ব্যায়াম যেমন টাচ টো, সুপার স্ট্রেচ, কাবাডি ইত্যাদি করতে পারেন।
৩. পর্যাপ্ত ঘুম
শরীরের বৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা এবং কিশোর-কিশোরীদের জন্য ৯-১০ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।
৪. সঠিক ভঙ্গি
ভাল ভঙ্গি উচ্চতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। সোজা হয়ে বসা এবং সোজা হয়ে দাঁড়ানো ভঙ্গি বজায় রাখতে হবে। খারাপ ভঙ্গি শারীরিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
৫. হরমোনের প্রভাব
গ্রোথ হরমোনের সঠিক নিঃসরণ উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই হরমোনের নিঃসরণ প্রাকৃতিকভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে যদি নিয়মিত ব্যায়াম, সঠিক পুষ্টি ও পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা হয়।
৬. স্ট্রেস কমানো
অতিরিক্ত স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণ প্রভাবিত করতে পারে, যা উচ্চতা বৃদ্ধিতে বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে। নিয়মিত মেডিটেশন ও শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।
৭. জল পান
পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং মেটাবলিজম ঠিক রাখে। প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস জল পান করা উচিত।
৮. চিকিৎসকের পরামর্শ
যদি জেনেটিক বা স্বাস্থ্যগত কারণে উচ্চতা বৃদ্ধিতে সমস্যা হয়, তবে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বিশেষ করে গ্রোথ হরমোন থেরাপির মতো চিকিৎসা পদ্ধতির প্রয়োজন হতে পারে।
উপরের এই উপায়গুলো মেনে চললে, প্রাকৃতিকভাবে উচ্চতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়ানো যায়। তবে, মনে রাখতে হবে যে উচ্চতা প্রধানত জেনেটিক ফ্যাক্টরের উপর নির্ভরশীল এবং সঠিক পদ্ধতি মেনে চললেও সবাই সমানভাবে উচ্চতা বৃদ্ধি পাবেন না।