লিভ টুগেদার (Live Together) বলতে বোঝায় যে দুটি মানুষ বিবাহবন্ধন ছাড়াই একসঙ্গে বসবাস করছেন। লিভ টুগেদার সাধারণত প্রেমিক-প্রেমিকা, বাগদত্তা বা দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের মধ্যে থাকা দুটি মানুষের মধ্যে হয়ে থাকে।
লিভ টুগেদার কানাডা ও ইউরোপীয় দেশগুলো:
অনেক দেশে এ সম্পর্ক আইনি স্বীকৃতি পায়। এই দেশগুলিতে লিভ টুগেদার জুটির অধিকার এবং দায়িত্ব বিবাহিত জুটির মতোই।
কিছু ক্ষেত্রে, একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে একসঙ্গে বসবাসের পর, এই জুটিরা “কমন-ল’ মেরেজ” (common-law marriage) বলে স্বীকৃতি পায়।
বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো:
বাংলাদেশে এ সম্পর্ক আইনি স্বীকৃতি পায় না।
এমন সম্পর্ক থেকে জন্মগ্রহণ করা সন্তানের বৈধতা নিয়ে জটিলতা দেখা দিতে পারে।
আর্থিক ও সম্পত্তির বিষয়েও আইনগত জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক:
পশ্চিমা সংস্কৃতি:
অনেক পশ্চিমা দেশে এই সম্পর্ক সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য এবং সাধারণ ঘটনা।
এই ধরনের সম্পর্ক সেখানে সামাজিক বা পারিবারিক সমালোচনার মুখোমুখি কম হয়।
বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো:
বাংলাদেশে ধর্মীয় এবং সামাজিক মূল্যবোধের কারণে লিভ টুগেদার সম্পর্ক এখনো সাধারণভাবে সমর্থিত নয়।
অনেক ক্ষেত্রেই পরিবার এবং সমাজের তরফ থেকে বিরোধিতার সম্মুখীন হতে হয়।
সামাজিক এবং পারিবারিক চাপের কারণেঈই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কঠিন হতে পারে।
![দারাজ অফার.](https://www.jenerakho.com/wp-content/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-2024-06-04-at-12.31.12_59bc765c-1024x1024.jpg)
আরো পড়ুন ; কনফিডেন্স বাড়ানোর উপায়
মানসিক এবং আবেগগত দিক:
সম্পর্কের সুবিধা:
পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ বৃদ্ধি পায়।
বিয়ের আগে সম্পর্কের গভীরতা পরীক্ষা করার সুযোগ মেলে।
সম্পর্কের চ্যালেঞ্জ:
সম্পর্কের স্থায়িত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকতে পারে।
পারিবারিক এবং সামাজিক চাপে মানসিক চাপ তৈরি হতে পারে।
একসঙ্গে থাকলে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ক্ষেত্রে কিছুটা সংঘাত হতে পারে।
অর্থনৈতিক দিক:
পশ্চিমা দেশগুলো:
অনেক সময় জুটি যৌথভাবে আর্থিক দায়িত্ব পালন করে এবং একই ছাদের নিচে থাকার ফলে খরচ ভাগাভাগি করে।
একসঙ্গে বসবাসের ফলে আর্থিক সুবিধা লাভ করা সম্ভব হয়।
![দারাজ অফার.](https://www.jenerakho.com/wp-content/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-2024-06-04-at-12.31.12_59bc765c-1024x1024.jpg)
আরো পড়ুন ; জন্মদিনে গিফট হিসাবে কি দেওয়া যায়
বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো:
আর্থিক দায়িত্ব ভাগাভাগির ফলে সুবিধা হলেও, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বাধার কারণে অনেক ক্ষেত্রে সম্পর্কটি আর্থিকভাবে সুবিধাজনক নাও হতে পারে।
ভবিষ্যৎ ধারা:
যুব সমাজের মানসিকতা পরিবর্তনের সাথে সাথে লিভ টুগেদার সম্পর্কের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।
সমাজের চিন্তাভাবনা এবং মূল্যবোধের পরিবর্তন হলে হয়তো ভবিষ্যতে এ সম্পর্কের প্রতি গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।
এই সমস্ত দিক বিবেচনা করে বোঝা যায়, লিভ টুগেদার সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সামাজিক, আইনি, অর্থনৈতিক, এবং মানসিক বিষয়গুলি প্রভাব ফেলে। এটি একটি জটিল বিষয়, যার প্রভাব বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি এবং আইন অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে।